শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post
তিন বছরেও চালু হয়নি

ফুলবাড়ীর চিন্তামন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র 

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ফুলবাড়ীর চিন্তামন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র 

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউপির (চিন্তামন) ১০শয্যা বিশিষ্ট্য মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি নির্মাণের ৩ বছরেও চালু হয়নি।

এটি পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৪ কোটি ২৫ হাজার টাকা নির্মাণ কাজে বরাদ্দ দেয়ার পর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দিনাজপুর টেন্ডার আহ্বান করলে ওই টেন্ডারে কাজটি পান সিরাজগঞ্জ জেলার মেসার্স পিয়াস কনসট্রাকশন। 

নির্মাণ কাজটির ওয়ার্ক ওর্ডার পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (এমপি) চিন্তামন ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি নির্মাণের ভিত্তিস্থাপন করেন। ভিত্তিস্থাপনের পর থেকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণের কাজ শুরু হয়। তবে নির্মাণের তিন বছরেও তা চালু হয়নি। 

ঠিকাদার মো. আনোয়ার হোসেন ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ৩য় তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করার পর ভবন দুটি এখন তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের নির্মাণকৃত ৩য় তলা ভবনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহকৃত মালামালগুলো তালাবন্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার মেসার্স পিয়াস কনসট্রাকশনের সত্বাধীকারী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ভবন নির্মাণ হওয়ার পর দুটি ভবন ও মালামাল গতবছর দিনাজপুর জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক মোছা. মমতাজ বেগমের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন এখানে আমার করার কিছু নাই।

অন্যদিকে দিনাজপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রউফ জানান, ভবন নির্মাণ তদারক করেছি আমি। তবে ভবন নির্মাণ হওয়ার পর ভবন দুটি ঠিকাদার মো. আনোয়ার হোসেন দিনাজপুর জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক মোছা. মমতাজ বেগমের নিকট হস্তান্তর করেছেন। 

এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলার তৎকালীন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক মোছা. মমতাজ বেগম জানান, ঠিকাদার ভবন দুটি আমার নিকট হস্তান্তর করেছে। তবে জনবলের কারণে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনবল দেয়া হলে আমরা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করব।

তৎকালীন ফুলবাড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রইচ উদ্দীন জানান, আমি ওই উপকেন্দ্রের দায়িত্বভারের কোন চিঠি পাইনি। 

এদিকে সোমবার (২২ মে) দিনাজপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তৎকালীন উপ পরিচালক মোছা. মমতাজ বেগম অবসর গ্রহণের পর আমি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত হই। বর্তমান বেতদিঘী ইউপি মা ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটিতে সরকারিভাবে জনবল না থাকায় চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

জনবল দেয়া হলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করা হবে। পাহারাদার মিজানুর রহমান ২০২০ সাল থেকে ভবন দুটি তদারক করছেন। গত ৩ বছর ধরে তাকে বেতন দেয়া হচ্ছে না। ঠিকাদার তার নিকট চাবি দিয়ে চলে গেছে। এখন ঠিকাদার বলছে পাহারাদারের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। অন্যদিকে পাহারাদার মিজানু রহমান বলছেন ৩ বছর ধরে কোন বেতন পাইনি। 

টিএইচ